ধূম-পান করলে ফলাফলঃ আকস্মিক নিদারুণ সেই ট্রাজেডি!!!
ধূম-পান করলে ফলাফলঃ আকস্মিক নিদারুণ সেই ট্রাজেডি!!!
ধূমপান?
আল্লাহ ! কি যে ভয়ানক প্রশ্ন ! উত্তর অনেক কঠিন! ।ধূমপানে করলে হয় কি ? নিজেও জানেন, কেনো এতো কৌতুহল!! জানবো অপেক্ষাই আছি । ধূমপান ছোবল জগত এ প্রান্ত থেকে ঔ প্রান্ত । মিথ্যা নয় ধূম পান তরল পদার্থের আকারে ছিটিয়ে যাচ্ছে। একটা রিয়েল লাইফ ট্রাজেডি লিখবে আমার কলম নো স্টপ।।
লেখা…. মূল্য হীরক চেয়ে কম কিসে,, বেয়াড়া -কে পটানো আরজি! পথ -প্রদর্শক বা । ধূমপানের ফলাফল নিজে থেকে আগুনে ঝাপ দেয়ার মতই ! দেখ ! নির্ভর হও , না করতে বশ কর ।।
ধূমপান হালের ফ্যাশান! একপ্রকার তামাক গাছের শুকনো পাতা ও রাসায়নিক পদার্থ-ের মিশ্রিত উপাদান জলন্ত আগুন পুড়িয়ে নিশ্বাস ঘ্রাণ নেয়া এবং বাতাস দূষিত ঘ্রাণ সৃষ্টি হলে ধূমপান করা হয়।
লোকমুখের কথা , ধূমপান করলে কি কি হবে, অনেক কঠিন কিছু?? সহজ সমাধান হল, যে ব্যক্তি ধূমপান করল সে আত্মহত্যা করল । ধূমপানকে সাইলেন্ট কিলার বললে ক্ষতি আছে কি ? শুধু নিজেকেই শেষ করা না, সাজানো পরিবার কে বিনাস করতে আলাদা কোন মাধ্যম লাগে না , এই ছোট্ট দুর্গন্ধ উপাদান যথেষ্ট।। চম়্কে গেলেন! তবে চলুন জেনে নিই ধূমপান করলে আসলে এমন কি-ই-বা হয়? ধূম পানে একটা পরিবার -পুরো পৃথিবী বিনাশ হচ্ছে কেন ?
আজকের আধুনিকায়নে না ,মাত্রাতিরিক্ত আধুনিকতা বলা হয় smoking বা chain smoker নাকি ফ্যাশান অলঙ্কার ! যেটাকে বাংলা ভাষাতে বলা হয় ধূমপান করা। আচ্ছা , কাল্পনিক কত কাহিনী তো আমরা বইয়ে পড়ি , যদি একটা বাস্তব /জীবন্ত গল্প শোনায় কেমন হবে বলুন তো !? করুন কাহিনী বলার আগে আপনাকে একটা কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, যদি আপনি ধূমপান করে থাকেন তবে নিশ্চিত যে, আপ-নিই আপনার আশেপাশের পরিবেশ নষ্ট করছেন .আপনার পরিবার ধ্বংস করছেন ,আপনার সন্তান ের মানসিক বিকাস পুরোটায় চিবিয়ে খেয়ে ফেলছেন স্বয়ং আপনি।। অবশেষে নিজেকে হত্যা করছেন আপ-নিই ।
সবাই হয়তো ভাবছেন, ধূমপান নাশ সম্পর্কে কি হেতুতে আমি এতটা উৎসুক! এই ধূমপান আমার বাবা-মা কে করুন যন্ত্রণা দিয়েছে এখন অবধি সহ্য করছে ।। এটা আমার পরিবার কে এক প্রকার বিকলাঙ্গ করেছে। বাস্তব জীবন থেকে নেওয়া সেই ছোট্ট কাহিনী বলি। আশা করি কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন। যেই তামাক থেকে ভয়ানক ধূমপান-ের সৃষ্টি সেই তামাক কে আমি আবার পরিত্যক্ত উপাদান / ধ্বংসাত্বক হিসেবেই পরিচয় দিব।
ধূমপান করলে নিশ্চিত মৃত্যু? জানতে পারবেন গল্প টা দিয়ে। একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার-ের একমাত্র আদুরে, বড় হওয়া সন্তান ,তাও আবার পিতা নিজ হা-তের পরিশ্রম রা-তের পর রাত জেগে থাকা রক্ত লাল নির্ঘুম দুটি চোখ স্বপ্ন দেখে ‘আমার ছেলে ডাক্তার হবে,মন অনেক বড় হবে ,সবাই কে সেবা করবে ভালো ব্যবহার দিয়ে’ । বাবার আশা অনেকাংশে ক্ষুন্ন হল ।কারণ, অপারগ সন্তান। ছেলে ডাক্তার হয়ে তেমন কোন উপকার বাপ-মা’কে দিতে পারেনি। আর মানুষ সেবা? তাতো সম্ভবই না! কারণ জানেন ?
ছেলের বাইরের জীবন শুরু । যখন বাইরে পড়তে গেলো (বাংলাদেশ-ের তৃতীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ! ) তখন মার চোখ জল,মন খুশি খুশি ,,,মা’র মন বলছে ‘এই তো আর কিছু দিন পর আমার সন্তান একজন ভালো ডাক্তার হবে ,কত মানুষ বাড়ি আসবে ,আমার ছেলে-র কাছে সেবা নিতে ’ আর দৃঢ় প্রত্যয়ী পিতা শুধু বলল ,’ভালো ভাবে থেকো, মন দিয়ে লেখাপড়া কর ‘ কিন্তু ছেলে মেডিকেলে পড়তে এসে কিছু খারাপ সঙ্গে দূষিত পরিবেশ মিশে গেলো। ভুলে গেলো পিতা মাতার শেখানো সভ্যতা।।
একরকম নিষিদ্ধ সঙ্গ এমন কিছু পান করা শিখল যেটা শুধু এক প্রকার ধোঁয়া সৃষ্টি করল না ,তার অন্ধবিশ্বাস পিতা-মাতার জীবন নেমে আসল অন্ধকার জগৎ । তাদের একমাত্র ছেলে উচ্চ শিক্ষা নিতে গিয়ে সম্পুর্ন মাদক আসক্ত, যেটার শুরু ছিল অভিশপ্ত ধূমপান দিয়ে। আর সেই ধূমপান তাকে এমন ভাবে পিরীত করল যাতে করে ডাক্তার হল , কিন্তু নিজের কাছে হেরে গেলো, পিতা-মাতার স্নেহ, উচ্চআশার কাছে হেরে গেলো। ডাক্তার ছেলে আজ হার্টব্লকে আক্রান্ত , এবং লিভার আকৃতি প্রয়োজন তুল-নায় অনেক বড় হয়ে গেছে । দুঃখেরই বিষয় , ধূমপান আসক্তি ফলে সেই ডাক্তার আজ মানুষ-র কাছে সেবা নেই, যেখানে তার সেবা দেওয়া কথা ছিল ।
ধূমপান শুধু তার শরীর ভিত-রটায় ক্ষত করে নি আজ তার পুরো পরিবার বিষাদগ্রস্থ। এবং সেই অক্লান্ত পরিশ্রমী বৃদ্ধ পিতা-মাতা আজ তাদের সন্তান কে মানুষ সেবা দিতে নয় ,শুধু ছেলে শরীর-ের কষ্ট কমানো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ।। শ্রদ্ধার পাত্র(পিতা-মাতা) সন্তান কে ভালোবাসা দিতে ভুলে না।। কথা গুলো ব্যক্ত করলাম, প্রধাণত একটা উদ্দেশ্য, ধূমপায়ী ব্যক্তি রা নিজেকে শুধ়্রে নিন পুরো পরিবার-এর খুশি খাতির , পিতা- মাতা কে ভালো‘রাখতে, ধুমপানকে না বলুন ।
উপরের ট্রাজেডি গল্পের ছিটেফোটা অনুধাবন করা যায় যে ধূমপানে মহাপ্রলয় তবুও আবার বলি..
- খারাপ সঙ্গ পরিহার করুন
- পিতা-মাতার মান রক্ষা করুন এই দায়িত্ব সম্পুর্ন আপনার
- পিতা-মাতার পরিশ্রম-এর টাকা কে সঠিক ভাবে ব্যবহার করুন।
- একজন সুশিক্ষিত মানুষ, বিবেক-বান নাগরিক হিসেব নিজেকে উপস্থাপন করুন।
ধূমপানে আছে কি
ধুমপান(সিগারেট ,বিড়ি)এগুলো জ্বলে যাওয়া আগু-নে পুড়িয়ে যে ধোঁয়া তৈরি হয় সেটা গ্রহণ করাই হচ্ছে ধূমপান। জেনে নিবো, কি কি পদার্থ আছে এই বিষাক্ত খাদ্যঃ হাইড্রোজেন সায়ানাইড, তামাক গুড়া পাতা, নিকোটিন পয়জন, বিশেষ আলকাতরা, রং এর মিশ্রণ, CO, NO2 ,পশুর রক্তও ব্যবহার হয়
সতর্কতা
যদি সুন্দর ভাবে বাঁচতে চান ,নীরব ঘাতক (ধূমপান ) হাত থেকে আগে ভাগেই বাঁচান নিজেকে। রক্তিম কঠিন পদার্থ ও নিকো-টিন হাত থেকে আপনার ছোট্ট শিশু সন্তানকে এই ধারণার বাইরে রাখেন কারণ আপনার ধূমপান-এর কারণ হতে পারে পুরো পরিবার বিকলাঙ্গ ।।
ধূমপান-এর সুবিধা
ধূমপানে ছিটে-ফোটা সুবিধার প্রমাণ নেই। এমনি কিছু যা মানুষের অন্তর গিলতে পারে।
ধূমপান-এর অসুবিধা
ধূমপানে প্রধাণ অসুবিধা নিজের জীবননাশ ! একটা সংসার বা গোটা পরিবার কে নাশ -এর মূল কারণ এই ধূমপান নামক বিষাক্ত ধোঁয়া।।
সাইলেন্ট কিলার ধূমপান-এর রোগের নমুনাঃ
এছাড়াও অনেক অজানা কঠিন রোগ হচ্ছেই ,ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গঠনে পুরুষ ধূমপায়ীরা প্রজানন ক্ষমতা কমছে প্রতিদিন 40% এবং এই সমস্যা পুরুষদের শরীরে ক্যান্সারের মত ছড়িয়ে পড়ছে।।
বিশ্ব জরিপে ধূমপায়ীর সংখ্যাঃ সেপ্টেমবর ২০১৯ অনুযায়ী বর্তমান বিশ্বে ধূমপায়ীর সংখ্যা কিরিবাতিতে সবচেয়ে বেশী (৫২.৪০%), আর বাংলাদেশে সম্পুর্ন (২০.২৫%)। যার মধ্যে পুরুষ ধূমপায়ী (২৯.৮০%) এবং নারী ধূমপায়ী (০.৭৯%)।তামাকের শুকনা পাতা থেকে (সিগারেট, বিড়ি, জর্দা )সৃষ্টি। আর এই বিষাক্ত তামাক সেবী ধূমপায়ীর সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে যা জোয়ারের পানির স্রোতের মত ছুটছে। বছরে ৮ মিলিয়ন মানুষ তামাক সেবনে মারা যাচ্ছে যার মধ্যে ৭ মিলিয়ন মানুষ সরাসরি ধূমপান আসক্তিতে মৃত্যুকে গ্রহন করছে।। এর মধ্যে তরুন ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশি। আর বাংলাদেশে বর্তমান শিক্ষিত তরুন সমাজে ৯৮ শতাংশ মাদকাসক্ত যার শুরুটা হয় ধূমপান দিয়ে। আর তন্মধ্যে ৯৮ শতাংশ ধূমপায়ী।।
ধূমপান থেকে রক্ষার উপায়ঃ
- নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন
- সৃষ্টিকর্তাকে অন্তরের অন্তসস্থলে খুজে ফিরেন , নিজেকে ফিরানোর মূলমন্ত্র***
- প্রচুর রসালো ফল দেহের ভিতর আয়ত্ব করান ( লাল টকটকে টমেটো , আপেল ) সবচেয়ে কার্যকারি , মুখে সবসময় সামান্য কিছু চৈষ অথবা চিবানো খাবার রাখা উপকার হবে
- মিষ্টি কিছু পরিহার করুন
- নিজেকে সতেজ, সঙ্গিকে খুশি করতে ঘুরতে যাওয়ার অভ্যাস করুন
- নিজের পরিবারকে ভালোবাসুন,পরিবারের প্রতিটা মানুষের খবর রাখুন, এবং সব সুখ-দুঃখ ভাগ করে নিন তাদের সাথে
- শরীরের পরিশ্রম করুন বেশি বেশি তাহলে শয়তান এই বিষাক্ত খাবার খাওয়াতে সুযোগ পাবেনা ।***
- বেশি বেশি নামাজ পড়ুন***
- অসৎ,ধূমপায়ী ব্যক্তি থেকে শতভাগ দূরে থাকার চেষ্টা করুন. কারণ( উপরের করুন কাহিনীর উৎসই ছিল খারাপ সঙ্গ)***
মতামতঃ
ধূমপান করলেন তো, নিজেকে ব্যক্তিত্বহীন প্রমাণ করলেন।। নিজের বিবেককে শুস্থ রাখুন ,আপনার সৃষ্টিকর্তাকে লালন করুন অন্তরে। মনে রাখবেন ধূমপান করার ফলে ফ্যাশনেবল হওয়া যায়না বরং নিজেকে বোকার পরিচয় দেয়া হয় , ধূমপানে করলে সব হারাবেন শরীরে এমনো অনেক দুরারোগ্য, যন্ত্রণা মনকে না বাঁচার ভয় দেখাবে । পরিবার,আত্ব-সম্মান আর পরিশেষে নিজেই হবেন নিজের মৃত্যুর কারণ। তাই, আসুন আজই ধূমপান কে না বলি কঠোর ভাবে ফলে পুরো বিশ্ব সচেতন হোক আরো একবার।।
Meta:
dhumpan korle ki hoy
রাজিয়া শোভা
No comments